শরীর দুর্বল হলে করণীয় । Nutritionist Aysha Siddika। Virtual Clinic । Bangla Health Tips
#শরীরদুর্বল
#banglahealthtips
#nutritionistayshasiddika
বর্তমান এ সময়টায় শরীরের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলছেন চিকিৎসকরা। উপদেশ দিচ্ছেন বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার।
এ বিষয়ে ভারতের অনলাইনভিত্তিক পুষ্টিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘নিউট্রিফোরভার্ভ’র প্রধান পুষ্টিবিদ শিবানী শিক্রি বলেন, ‘সম্পূরক খাবারের মতোই বেশ কিছু খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো যা অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। তাই বাজারের তালিকায় এ সকল উপাদান রাখা যেতে পারে’।
শরীরের দুর্বলতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদানের কথা বলেন তিনি। সেগুলো হচ্ছে—
১. ভিটামিন-সি
শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন-সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণে বেশি করে টকজাতীয় ফল যেমন— লেবু, কমলা, আঙুর খেতে হবে। এ ছাড়া কিউই, পালংশাক, লেটুসপাতা ও মরিচ বেশি খেতে পারেন। এগুলোও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার।
২. প্রোটিন
প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অনেক কার্যকর। ডিম হচ্ছে— প্রোটিইনের একটি ভালো উৎস। এটি খেলে তা দেহের কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং এতে লুটেইন ও জিক্সানথিন (ক্যারোটিনয়েড) থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডাল ও মটরজাতীয় খাবারেও প্রোটিন থাকে।
৩. আয়রন
দেহে আয়রন বা লৌহের পরিমাণ বজায় রাখতে সবুজ শাকসবজি, মটর, ডাল, টফু, শুকনো ফল ও ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এগুলো আয়রনের ভালো উৎস।
৪. সেলেনিয়াম
সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এগুলো ক্লান্তিভাব, নিদ্রাহীনতা ও দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করে। এ ধরনের খাবারগুলো দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগ থেকে সুস্থ রাখতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সেলেনিয়াম যুক্ত করতে মটর, বাদাম ও ডিম খেতে পারেন।
৫. প্রোবায়োটিক্স প্রাকৃতিকভাবেই শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে প্রোবায়োটিক্স সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এর জন্য দই খেতে পারেন। এতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এ ছাড়া নরম পনির, শুকনো ইস্ট, পাতাবহুল সবজি, ছানা এবং সবুজ সবজিতে প্রোবায়োটিক থাকে।
এ ছাড়া তিনি একটি প্রতিবেদনে বেশ কিছু খাবারের তালিকা প্রকাশ করেন, যেগুলো খেলে কাটবে শরীরের দুর্বলতা। ‘ফেমিনা ডট ইন’ ওয়েবসাইটে তার প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানুন কী কী খেলে কাটবে শরীরের দুর্বলতা—
১. মধু
মধু শরীর ও মনের দুর্বলতা কাটাতে ও চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি খুব ভালো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, লৌহ, সিলিকন, ফসফরাস ও ভিটামিন। বিশেষ করে এটি ভিটামিন-বির খুব ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।
২. আদা
এতে অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। সকালে পানির সঙ্গে আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৩. কোকোয়া বা চকলেট
কোকোয়া পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার ব্যাক্টেরিয়া রোধ করে। এতে ভিটামিন-এ, বি-৬ এবং ভিটামিন-সি থাকায় এগুলো সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী। এ ছাড়া এতে ভিটামিন-ডি, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ও সেলেনিয়াম থাকে।
এটি খাবার বিষয়ে শিক্রি বলেন, ‘এর ভালো ফল পেতে কম পক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোয়া সমৃদ্ধ চকলেট নির্বাচন করুন। এটি সঠিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। প্রতিদিন দুয়েক টুকরা ডার্ক চকলেট খাওয়া উপকারী’।
৪. কলা
কলা হচ্ছে ডোপামিন ও সেরোটোনিন সমৃদ্ধ ফল। এটি স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে ও চাপ কমাতে কার্যকরী।
৫. চিয়া বীজ
শরীরের শক্তি জোগাতে চিয়া বীজ অনেক উপকারী। এতে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ খাকে। এটি ভেজার পর আকারে প্রায় ১০ গুণ বড় হতে পারে। তাই এটি খেলে তা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
Nutritionist Aysha Siddika
Nutritionist Ayesha Siddika
পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা
আয়েশা সিদ্দিকা পুষ্টিবিদ
Pustibid Aysha Siddika
Pustibid Ayesha Siddika
source